লকডাউনের মধ‍্যেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল , ফসলের ক্ষতি

7th April 2020 বাঁকুড়া
লকডাউনের মধ‍্যেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল , ফসলের ক্ষতি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  একে লক ডাউন । তার উপর হাজির ২২ টি হাতির দল । করোনা আতঙ্ক আর হাতির আতঙ্ক মিলেমিশে এখন দিশেহারা অবস্থা বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের । জমিতে থাকা গ্রীষ্ম কালীন সবজীর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা । তবে গতকালই বন দফতর হাতি খেদানোর কাজ শুরু করে।  

বাঁকুড়ার সবজী উৎপাদক অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম বিষ্ণুপুর ও জয়পুর । এই ব্লকগুলির ধবাপুকুর , কুড়িগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন মাঠ জুড়ে রয়েছে করলা , বীনস , ঝিঙে , ঢ্যাঁড়স সহ বিভিন্ন ধরনের গ্রীষ্ম কালীন সবজী । লক ডাউনের জেরে যথেষ্ট পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় এমনিতেই এবার মার খেতে হচ্ছে সবজী চাষিদের । বহু ফসল বাজারজাত করতে না পারায় মাঠেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে । এরই মাঝে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো হাজির হয়েছে ২২ টি দাঁতালের একটি দল । লক ডাউনের জেরে মানুষ গৃহবন্দী । সেই সুযোগে বাসুদেবপুরের জঙ্গল ও জঙ্গল লাগোয়া এলাকাগুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দলটি । ইতিমধ্যেই স্থানীয় নতুনগ্রাম , বাকাদহ , বিষ্ণুপুর ও বাসুদেবপুর এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে হাতির দলটি । অবিলম্বে হাতির দলটিকে এলাকা থেকে তাড়াতে না পারলে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে ফসলের ক্ষতি আশঙ্কা কৃষকদের । বন দফতর অবশ্য দাবি করেছে ইতিমধ্যেই হাতিগুলিকে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা অবধি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে । কড়া নজর রাখা হচ্ছে হাতির দলের গতিবিধির উপরেও ।
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।